Yvonne Ridley (born 23 April 1958) is a British journalist and Respect Party activist. She was captured by the Taliban in 2001, and converted to Islam after release, later becoming an outspoken opponent of Zionism and vocal critic of Western media portrayals of the War on Terror. Author:Yvonne Ridley Publisher:Robson Books, 2001 ISBN :1861054955, 9781861054951 Length:216 pages
ইন দ্য হ্যান্ড অফ তালেবান
-- ইভন রেডলি
---------------
----------------
[রিভিউ লেখক : Habib Hasan ]
বইয়ের নাম: ইন দ্য হ্যান্ড অফ তালেবান
মূল লেখিকা:ইভন রেডলি।
লেখক পরিচিতিঃ ইভেন রেডলিলি একজন ব্রিটিশ নারী সাংবাদিক।পেশাগতভাবে তিনি দ্যা সানডে টাইমস, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অন সানডে,দ্য অভজার্ভার,ডেইলি মিরর, নিউজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইত্যাদি গণমাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পান। 9/11 এর পরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তিনি পাকিস্তান এবং পরে আফগানিস্তানে যান। সেখানে তালেবানদের হাতে বন্দী হন। তালেবানদের থেকে মুক্তির অল্পকিছুদিন পরেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।এজন্য সারাবিশ্বে তিনি অনেক আলোচিত হয়ে উঠেন।
শর্ট রিভিওঃ বইটা মূলত লেখিকার ইসলামে আসার পূর্ববর্তী জীবনের অভিজ্ঞতা। তাই বইটিও সেই প্রেক্ষাপট থেকেই লেখা হয়েছে।তাই বইয়ের অনেক কিছুই মুসলিম ভাইবোনদের কাছে খানিকটা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে।
বইয়ের প্রথম দিকে 9/11 এর সময়কার লেখকের ব্যক্তিগতজীবন এবং সংবাদ মাধ্যমগুলোর অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে।এরপর সংবাদ সংগ্রহের কাজে অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও তাকে ইসলামাবাদে পাঠানো হয়।ইসলামাবাদ থেকে তিনি অবৈধভাবে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেন আরো তথ্য সংগ্রহের আশায়।তারপর ফেরার পথে তিনি তালেবানদের হাতে ধরা পড়েন এবং গোয়েন্দা সন্দেহে বন্দী হন।বন্দী অবস্থায় একজন আলেম তার সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি তাকে ধর্ম নিয়ে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাস করেন এবং ইসলাম গ্রহণের অনুরোধ জানান। ধর্ম পরিবর্তনের মত মানসিকতা না থাকায় লেখিকা কথা দেন যে মুক্তি পেলে তিনি পরবর্তীতে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করবেন।মুক্তির পর তিনি তার কথা রেখেছিলেন এবং ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করার পর ইসলাম গ্রহণ করেন।
ইসলামাবাদ থেকে আফগানিস্তান বিস্তারিত ভ্রমণের বিস্তারিত চুলচেরা বর্ণনা দিয়েছেন লেখিকা।এসময়ে বোরখার ভিতর আপাদমস্তক ঢেকে, চুলের রং পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে তিনি কিভাবে আফগানিস্তান পৌঁছান, অন্যান্য বিদেশী সাংবাদিকদের অবস্থা কেমন ছিল ঐ সময়ে, সাংবাদিকদের মধ্যে সংবাদ সংগ্রহের ব্যাপারে একজনের প্রতি আরেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি, তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থা সহ সবই লেখিকা বইয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন।মূলত যারা এডভেঞ্চার প্রিয় ভ্রমণ কাহিনী পছন্দ করেন তারা অনেকটাই আনন্দ পাবেন বইটাতে।
ব্যক্তিগত মতামত: বইটি পড়ে আদৌ তালেবানদের প্রতি মানুষের ভুল ধারনা দূর হবে না।বরং লেখকের অভিজ্ঞতায় তালেবানদেরকে নারী অধিকার হরনকারী, মধ্যযুগী বর্বর আইন প্রণেতা এইভাবে দেখানো হয়েছে।যেহেতু উনি ঐসময়ে সেক্যুলার চিন্তাধারার ছিলেন তাই উনি যেভাবে দেখেছেন ঐভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন।তবে যারা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তারা বইটা পড়ে হয়ত এই ভেবে ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে যে এই লেখিকাই পরবর্তী জীবনে কি কারণে ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী হয়েছিলেন।
যাদের পড়া উচিত বইটি: বিশেষত যারা দায়ী, তাদের বইটা পড়া উচিত। কারণ অধিকাংশ সেক্যুলার নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হয়ে থাকে তার মোটামোটি ভাল একটা বর্ননা বইটা পড়লে পাওয়া যাবে যা দাওয়াত দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
[রিভিউ লেখক : Habib Hasan ]
বইয়ের নাম: ইন দ্য হ্যান্ড অফ তালেবান
মূল লেখিকা:ইভন রেডলি।
লেখক পরিচিতিঃ ইভেন রেডলিলি একজন ব্রিটিশ নারী সাংবাদিক।পেশাগতভাবে তিনি দ্যা সানডে টাইমস, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অন সানডে,দ্য অভজার্ভার,ডেইলি মিরর, নিউজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইত্যাদি গণমাধ্যমে কাজ করার সুযোগ পান। 9/11 এর পরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য তিনি পাকিস্তান এবং পরে আফগানিস্তানে যান। সেখানে তালেবানদের হাতে বন্দী হন। তালেবানদের থেকে মুক্তির অল্পকিছুদিন পরেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।এজন্য সারাবিশ্বে তিনি অনেক আলোচিত হয়ে উঠেন।
শর্ট রিভিওঃ বইটা মূলত লেখিকার ইসলামে আসার পূর্ববর্তী জীবনের অভিজ্ঞতা। তাই বইটিও সেই প্রেক্ষাপট থেকেই লেখা হয়েছে।তাই বইয়ের অনেক কিছুই মুসলিম ভাইবোনদের কাছে খানিকটা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে।
বইয়ের প্রথম দিকে 9/11 এর সময়কার লেখকের ব্যক্তিগতজীবন এবং সংবাদ মাধ্যমগুলোর অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে।এরপর সংবাদ সংগ্রহের কাজে অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও তাকে ইসলামাবাদে পাঠানো হয়।ইসলামাবাদ থেকে তিনি অবৈধভাবে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেন আরো তথ্য সংগ্রহের আশায়।তারপর ফেরার পথে তিনি তালেবানদের হাতে ধরা পড়েন এবং গোয়েন্দা সন্দেহে বন্দী হন।বন্দী অবস্থায় একজন আলেম তার সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি তাকে ধর্ম নিয়ে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাস করেন এবং ইসলাম গ্রহণের অনুরোধ জানান। ধর্ম পরিবর্তনের মত মানসিকতা না থাকায় লেখিকা কথা দেন যে মুক্তি পেলে তিনি পরবর্তীতে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করবেন।মুক্তির পর তিনি তার কথা রেখেছিলেন এবং ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করার পর ইসলাম গ্রহণ করেন।
ইসলামাবাদ থেকে আফগানিস্তান বিস্তারিত ভ্রমণের বিস্তারিত চুলচেরা বর্ণনা দিয়েছেন লেখিকা।এসময়ে বোরখার ভিতর আপাদমস্তক ঢেকে, চুলের রং পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে তিনি কিভাবে আফগানিস্তান পৌঁছান, অন্যান্য বিদেশী সাংবাদিকদের অবস্থা কেমন ছিল ঐ সময়ে, সাংবাদিকদের মধ্যে সংবাদ সংগ্রহের ব্যাপারে একজনের প্রতি আরেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি, তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থা সহ সবই লেখিকা বইয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন।মূলত যারা এডভেঞ্চার প্রিয় ভ্রমণ কাহিনী পছন্দ করেন তারা অনেকটাই আনন্দ পাবেন বইটাতে।
ব্যক্তিগত মতামত: বইটি পড়ে আদৌ তালেবানদের প্রতি মানুষের ভুল ধারনা দূর হবে না।বরং লেখকের অভিজ্ঞতায় তালেবানদেরকে নারী অধিকার হরনকারী, মধ্যযুগী বর্বর আইন প্রণেতা এইভাবে দেখানো হয়েছে।যেহেতু উনি ঐসময়ে সেক্যুলার চিন্তাধারার ছিলেন তাই উনি যেভাবে দেখেছেন ঐভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন।তবে যারা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তারা বইটা পড়ে হয়ত এই ভেবে ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে যে এই লেখিকাই পরবর্তী জীবনে কি কারণে ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী হয়েছিলেন।
যাদের পড়া উচিত বইটি: বিশেষত যারা দায়ী, তাদের বইটা পড়া উচিত। কারণ অধিকাংশ সেক্যুলার নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হয়ে থাকে তার মোটামোটি ভাল একটা বর্ননা বইটা পড়লে পাওয়া যাবে যা দাওয়াত দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
No comments:
Post a Comment